জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) :
স্ব বাঁশখালীর ১৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। গতকাল ৩১ মার্চ সকালে উপজেলার গ্রীণ কনভেনশন হলে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুল হক চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. ফরিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আবুল হাশেম সিকদার, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অসিত সেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সরওয়ার মনি, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব কাজি রাজেশ ইমরান, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল।
বাঁশখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি ফয়সল জামিল চৌধুরী সাকির সভাপতিত্বে ও রিপন মাঈনুদ্দিন বাবুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার হোসেন চৌধুরী, আহমদ ছফা, আজিমুল ইসলাম ভেদু, নুরুল আলম, আবুল বশর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা এড. মো. আলমগীর কবির, জহির উদ্দিন মো. বাবর, আরিফ মঈনুদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহব্বায়ক মৃদুল দত্ত, শহিদুল ইসলাম, সদস্য সালাউদ্দিন সিকদার, ওয়াহিদুল ইসলাম চৌধুরী, গিয়াস কামাল হায়দার, মোরশেদ বুলবুল, দিলদার হোসেন, সাগর চৌধুরী, এম.এ মান্নান, রাজু দাশ, ফাহিমুল হক চৌধুরী, উৎপল চৌধুরী সঞ্জয়, রাগিব চৌধুরী, মো. জোনাইদ, সাইফুল ইসলাম, ফারদিন সরোয়ার, কলিম উদ্দিন আপন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীর রাজনীতি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। যে উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। সরকার প্রধান করেছেন। কারো বাহবা নাই। সরকার উন্নয়ন ঘটাতে দৃষ্টি দিয়েছে বলেই উন্নয়ন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হয়েছে, আদালত ভবন হয়েছে। যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতা হচ্ছে মমতা। মমতা দিয়ে যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে তারাই আসল নেতা। আর যাদের আচরণ খারাপ, মুখ খারাপ তাদের কেউ মানবে না। আমি একসময় আওয়ামী লীগকে সুন্দরভাবে চালানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমি ১০১ জনকে নিয়ে আওয়ামী লীগ করেছি। এখন বিভাজন কারা করছে? বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বললো। তাহলে কেন সরকার এখানে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেছে। মুখ বন্ধ করলে সবাই ভালো থাকবো। যার দাম তাকে দিতে হবে। কর্মীর দাম কর্মীকে, রিক্সা চালকের সম্মান রিক্সা চালককে দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র দাঁড়াতে পারে দেশবিরোধীরাই।
এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এই সংবর্ধনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হননি। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে হামলা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিব্রতকর মন্তব্য করার অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন : বান্ধবীকে কোটি টাকা ধার প্রবাসি বাশঁখালীর যুবকের আত্মহত্যা